তীন ফলের পরিচয়ঃ
- পবিত্র
কোরআনে বর্ণীত তীনে ফলটি নিয়ে মুসলমানদের মাঝে বিশেষ কৌতূহল রয়েছে। সুরা
তীনে আল্লাহ দুটো ফলের নামে শপথ করেছেন। এক. ত্বীন, দুই. যায়তুন। আমরা যখন
বাংলা ভাষায় অনুবাদ করি তখন তীনকে চিরচেনা ডুমুর হিসেবে চালিয়ে দিই। ফলে
পাঠকেরা থেকে যাচ্ছেন অপ্রত্যাশিত ভ্রান্তিতে। কুরআনে যে তীনের উল্লেখ
রয়েছে তা আমাদের দেশে নেই। কুরআনে যে তীনের কথা উল্লেখ রয়েছে সেটির
বৈজ্ঞানিক নাম Ficus carica আর ডুমুরের বৈজ্ঞানিক নাম ফাইকাস হিসপিডা
(Ficus hispida)। স্বাদে, ঘ্রাণে এবং পুষ্টিগুণে সেরা একটি ফলের নাম তীন।
এর আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্য, সবচেয়ে বেশি এবং সেরা মানের তীনের চাষ হয়
তুরস্কে।
তীনের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাঃ
- তীনে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, কপার, আইরন, ভিটামিন-এ,ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি, ইত্যাদি।
- এতকিছু উপকারী উপাদান থাকলেও ক্যালরি এবং ফ্যাট নেই বললেই চলে। মোটা হয়ে যাওয়ার চিন্তা ঝেড়ে ফেলে পেটভর্তি খাওয়ার মতো একটি ফল তীন।
- ব্লাড
প্রেসার এবং স্নায়ুরোগ কমাতে দারুণ কার্যকর, প্রোস্টেট এবং জরায়ু
ক্যান্সারের প্রতিষেধক হচ্ছে তীন। মায়ের বুকে দুধ উৎপাদনে তীনের জুড়ি মেলা
ভার। পাইলসে ভোগা ব্যক্তিরা অসাধারণ ঔষধ হিসাবে তীনখেতে পারেন।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি নিয়ে আর চিন্তা করতে হবেনা তীন খান। - কিডনি,
লিভার, ইউরিনারি ব্লাডারের কার্যকারিতা বহুগুণে বৃদ্ধি করে। হাঁপানি রোগ,
ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ, শ্বাসকষ্ট, ত্বক সমস্যা, চুলের রোগে তীন সবচেয়ে
কার্যকর ভূমিকা রাখে। গর্ভবতী মহিলাদের এসিডিটি নির্মূল করে তীন। শরীরের
দুর্বলতা দূর করে আনে সজীবতা আর অদম্য শক্তি। তীনফলের উপকারিতালেখতে চাইলে
শেষ করা কষ্টকর হয়ে যাবে।
Customer Questions and answers :
Login to ask a question