মিষ্টি কুমড়া কিংবা চাল কুমড়া সাধারণত মাটির উপরে বড় হয় কিন্তু ভুই কুমড়া সম্পন্ন আলাদা এটি মাটির গভীরে জন্মে। ভূঁই কুমড়া গাছ লতানো এটি দীর্ঘ লম্বা, ফুল দেখতে অনেকটা কলমি ফুলের মত। ভুই কুমড়ার পাতা পাঁচটি ভাগে বিভক্ত এবং সবুজ রঙের হয়।
জেনে রাখি ভূঁই কুমড়ার ঔষধি গুনাগুন:
১. স্তনের দুগ্ধ বৃদ্ধি করে: যেসব মায়েদের বুকের দুধ কম হয় তারা এই শুকনা গুঁড়া পানিতে ভিজিয়ে নিয়মিত খেলে দুধের চাহিদা পূরণ হয়।
২. যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে: যে সমস্ত পুরুষ জনস সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য একটি কার্যকরী উপাদান, এটি যৌনশক্তি বৃদ্ধির সমাধান করে। প্রতিদিন রাতে ১ চামচ পাউডার ১ গ্লাস কুসুম গরম পানি/দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে সাথে মধু অথবা লাল চিনি মিশাতে পারেন ।
৩. প্রসাবে জ্বালাপোড়া বন্ধ করে: ভূঁইকুমড়া পাউডার নিয়মিত খেলে প্রসাবের জ্বালাপোড়া বন্ধ হয় যারা প্রসাবে জ্বালাপোড়ায় ভুগছেন তারা এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৪. ধাতু ক্ষয় রোধ করে: বর্তমানে পুরুষদের ক্ষেত্রে অনেকেরই ধাতু ক্ষয়ই রোগ রয়েছে। ধাতু ক্ষয়ের কারণে শরীরের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যার একটি কার্যকরী ভেষজ ভূঁইকুমড়া।
৫.অনিয়মিত মাসিক সমস্যায়: যারা মেনোরিয়ায় ভুগছেন, নিয়মিত বিরতিতে অস্বাভাবিকভাবে দীর্ঘ এবং ভারী মাসিক হয়, তারা ভেষজ খেলে উপকৃত হন।এটি মহিলা প্রজনন সিস্টেমের সাথে সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসায় এর ব্যবহারকে সমর্থন করে।
৬. লিভার ভালো রাখে: ভেষজটি লিভার এবং প্লীহা বৃদ্ধির চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।উদ্ভিদটি ফাইটোকেমিক্যাল তৈরি করে যা ইস্ট্রোজেনের সাথে ক্রিয়াকলাপের সাথে মিল রয়েছে।
৭.ওজন বৃদ্ধি করে: ভুই কুমড়া প্রাকৃতিকভাবে ওজন বৃদ্ধি করার জন্য একটি কার্যকরী ভেষজ। যাদের শহীদের ওজন কম শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে তাদের জন্য প্রাকৃতিকভাবে ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে ভূঁইকুমড়া।
এছাড়াও ভূঁই কুমড়া শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসকে উদ্দীপিত করে।
Login to ask a question