উলটকম্বল একটি ভেষজ ঔষধি গাছ। এটা বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকায় এই গাছ পাওয়া যায়। উলট কম্বল গাছ ৮-১০ ইঞ্চি লম্বা হয়। বেশি মোটা হয় না। গাছের ছালে রেশমের মতো আঁশ থাকে, ফুলের রঙ মেরুন। ফল পঞ্চকোণবিশিষ্ট লোমাবৃত। কাচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে ধূসর বর্ণের হয়। এর পাতা, গাছ ও মূলের ছাল ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: উলট কম্বল আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ কার্যকর। এজন্য ৫-৬ গ্রাম উলট কম্বল খোঁসা গুঁড়ো করে এর সাথে সমপরিমাণ চিনি মিশিয়ে রাতে গরম পানি দিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
২. রক্ত আমাশয় দূর করে: রক্ত আমাশয়ের জন্য উলট কম্বল ভালো একটি প্রাকৃতিক সমাধান। এজন্য প্রতিদিন উলট কম্বল পাতা পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করলে রক্ত আমাশয় ভালো হয়ে যাবে।
৩. শরীর ঠান্ডা রাখে: বিশেষ করে যে সমস্ত মানুষ হাত পায়ের জ্বালাপোড়া অনুভব করেন শরীর ঠান্ডা থাকে না তারা প্রতিদিন সকালে পেট কম্বল গাছের ছাল পাউডার করে খেতে পারেন এতে সারাদিন শরীর ঠান্ডা থাকবে।
৪. বন্ধ্যত্ব রোগীদের জন্য: উলট কম্বল উদ্ভিদের মূলের ছাল থেকে এক ধরনের আঠাজাতীয় রস বের হয়, যা গর্ভাশয়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে বন্ধ্যত্ব রোগীদের ক্ষেত্রে উলট কম্বলের মূলের ছাল ভীষণ উপকারী।
৫. চুল পড়া রোধ করে: উলট কম্বল চুল পড়া রোধ হয় এবং চুল ঘণ ও সবসময় কালো থাকবে। একই সাথে এটি আমাদের তারুণ্য ধরে রাখে এবং অকালে দাঁত পড়বে না ও চোখে চশমা দিতে হবে না।
৬. দীর্ঘদিন থেকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, জরায়ু সংক্রান্ত রোগ, বন্ধ্যাত্ব, ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এটি কার্যকর বলে জানান ভেষজ বিশেষজ্ঞগণ। এ থেকে তৈরি ওষুধের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
৭. শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে: উলট কম্বল রস আয়ু, বল ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে এবং একই সাথে আমাদের বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমায় ।
৮. গনেরা রোগীদের জন্য: পাতা ও কাণ্ডের রস গনোরিয়া রোগে বিশেষ উপকারী। দীর্ঘদিন থেকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, জরায়ু সংক্রান্ত রোগ, বন্ধ্যাত্ব, ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কার্যকর।
এছাড়াও এটি সর্দি-কাশি নিরাময় করে। একই সাথে এটি কৃমিনাশক, অনিদ্রা দূর করে, হাঁপানি ও কুষ্ঠরোগে বেশ কার্যকরী।
Login to ask a question