UCCHE SEEDS, BITTER MELON all season15 pcs

SKU: SEDW71193
Seller: Seeds World

Tk 45
SoldOut


উচ্ছে বা করলা আমাদের দেশে একটি অতি পরিচিত সবজী। এটা সাধারনত গ্রীষ্মকালীন সবজী । তবে সারা বছর ধরেই এর চাষ করা যায়। উচ্ছে বা করলা মানবদেহের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী সবজি। এটাকে ভাজি করে অথবা রান্না করে খাওয়া হয়। আসুন জেনে নেই বাড়িতে কিভাবে এটার চাষ করতে হবে।
কিভাবে উচ্ছে বা করলা চাষের টব/মাটি তৈরি করবেন:উচ্ছে বা করলা প্রায় সব মাটিতেই চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থসমৃদ্ধ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে উচ্ছে বা করলা ভাল হয় ।
উচ্ছে বা করলা চাষে কি ধরণের টব/পাত্রের আকৃতি বাছাই করবেন:উচ্ছে বা করলা চাষের জন্য মাঝারি অথবা বড় টব অথবা ড্রাম ব্যবহার করতে পারেন। ছাদে উচ্ছে বা করলা চাষের জন্য হাফ ড্রাম ব্যবহার করা যেতে পারে । হাফ ড্রামের তলায় ৩/৪ টি ছিদ্র করতে হবে যাতে সহজেই অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশিত হয় । হাফ ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে ।
উচ্ছে বা করলা চাষ/রোপনের সঠিক সময়:উচ্ছে বা করলা সারা বছর চাষ করা যায়। তবে উচ্ছে বা করলার বীজ বপন এবং চারা রোপণ করার উপুযুক্ত সময় হচ্ছে মাঘ মাস থেকে ফাল্গুন মাস এবং বৈশাখ মাস থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস। এসময় চারা অথবা বীজ রোপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
কিভাবে বীজ বপন ও সঠিক নিয়মে পানি সেচ দিবেন:পাত্রের মাটি যখন ঝুরঝুরে হবে তখন উচ্ছে বা করলার বীজ বপন করতে হবে । উচ্ছে বা করলার বীজ বপনের করার ক্ষেত্রে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। উচ্ছে বা করলার বীজকে ২৪ ঘন্টা পূর্বে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে । বীজ বোনার পর মাটি হাত দিয়ে সমান করে দিতে হবে এবং চেপে দিতে হবে ।উচ্ছে বা করলার বীজ বপন করার পর এতে নিয়মিত পানি দিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন কখনই পানি জমে না থাকে। তাহলে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। তাই সঠিক নিয়মে পানি দিতে হবে।
উচ্ছে বা করলা চাষে পোকামাকড় দমন ও বালাইনাশক/কীটনাশক কিভাবে প্রয়োগ করবেনউচ্ছে বা করলার চাষ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে এতে যেন কোন প্রকার পোকার আক্রমণ না হয়। কারণ উচ্ছে বা করলার সবচেয়ে ক্ষতিকর পোকা হল ফল ছিদ্রকারী পোকা । এই পোকার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে মাঝে মাঝে উচ্ছে বা করলা গাছে ভাল কীটনাশক স্প্রে করতে হবে । এছাড়াও ছাদ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে । তাহলে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে ।
কিভাবে উচ্ছে বা করলা বাগানের যত্ন ও পরিচর্যা করবেন:উচ্ছে বা করলা গাছের অপ্রয়োজনীয় বা মরা লতা পাতা বাছাই করে ফেলে দিতে হবে। টবের মাটি কয়েকদিন পর পর হালকা নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে। যাতে উচ্ছে বা করলা গাছে আগাছা জন্মাতে না পারে । সেই সাথে মাটি কিছুটা আলগা করে দিলে গাছের শিকড়ের ভাল বৃদ্ধি হয় ।
উচ্ছে বা করলার খাদ্য গুণাগুণ:উচ্ছে বা করলার মধ্যে অনেক ধরণের খাদ্যগুন বিদ্যমান। এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান আছে যা শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম উচ্ছে বা করলায় আছে জলীয় অংশ ৯২.২ গ্রাম, আমিষ ২.৫ গ্রাম, শর্করা ৪.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৪ মিলিগ্রাম, আয়রণ ১.৮ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১৪৫০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি১- ০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২- ০.০২ মিলিগ্রাম, অন্যান্য খনিজ পদার্থ ০.৯ গ্রাম ও খাদ্যশক্তি ২৮ ক্যালরি।
উচ্ছে বা করলার ঔষধি গুনাগুন:উচ্ছে বা করলার অনেক ঔষধি গুণ আছে। নিয়মিত উচ্ছে বা করলা খাওয়ার অভ্যাস করলে নানান রকমের রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। উচ্ছে বা করলা খাওয়ার ফলে রক্তের সমস্যা, খাবারের অরুচি, চোখের সমস্যা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করে। এছাড়া উচ্ছে বা করলা বিভিন্ন ধরণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কখন উচ্ছে বা করলা সংগ্রহ করবেন:উচ্ছে বা করলা ছোট থাকতে সংগ্রহ করতে পারেন আবার বড় হলেও সংগ্রহ করতে পারেন। উচ্ছে বা করলা কাচা থাকতে সংগ্রহ করতে হয়। কারণ পেকে গেলে সেই উচ্ছে বা করলা আর খাওয়া যায় না। তাই ফল পাকার আগেই উচ্ছে বা করলা সংগ্রহ করতে হবে।





Customer Questions and answers :

Login to ask a question