>> প্রথমেই তুলসির উপকারিতা জেনে নেইঃ
** শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা
ঠান্ডা লাগলে তুলসী পাতা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। গলার সব রকম সমস্যায় তুলসী পাতা ব্যবহৃত হয়।
** হার্টের অসুখ
তুলসী পাতায় আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো হার্টকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে সহায়তা করে। তুলসী পাতা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও এর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
** মানসিক চাপ
তুলসীর ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এই উপাদানগুলো নার্ভকে শান্ত করে। এ ছাড়াও তুলসী পাতার রস শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
** মাথা ব্যথা
মাথা ব্যথা ও শরীর ব্যথা কমাতে তুলসী খুবই উপকারী। এর বিশেষ উপাদান মাংশপেশীর খিঁচুনি রোধ করতে সহায়তা করে।
** বয়স রোধ করা
ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও এসেন্সিয়াল অয়েলগুলো চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের হিসেবে কাজ করে যা বয়সজনিত সমস্যাগুলো কমায়। তুলসী পাতাকে যৌবন চিরকাল ধরে রাখার টনিক ও মনে করেন কেউ কেউ।
** রোগ নিরাময় ক্ষমতা
তুলসী গাছের ঔষধি-গুণাবলি সমৃদ্ধ গাছ। তুলসীকে নার্ভের টনিক বলা হয় এবং এটা স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশ উপকারী। এটি শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মাঘটিত সমস্যা দূর করে। তুলসী পাতা পাকস্থলীর ও কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
** পোকার কামড়
তুলসী পাতা হল প্রোফাইল্যাক্টিভ যা পোকামাকড় কামড়ে দিলে উপসম করতে সক্ষম। পোকার কামড়ে আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার তাজা রস লাগিয়ে রাখলে পোকার কামড়ের ব্যথা ও জ্বলা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।
** ত্বকের সমস্যা
তুলসী পাতার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তুলসী পাতা বেঁটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়। এ ছাড়াও তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগালে ত্বকের যে কোনও সমস্যায় বেশ উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ত্বকের কোনও অংশ পুড়ে গেলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগালে জ্বালা কমবে এবং সেখানে কোনও দাগ থাকবে না।
>> বীজ বপনের জন্য মাটি তৈরিঃ এই ফুলের বীজ অনেক ফুলের বিজ সাধারণ মাটির চেয়ে আলাদা ভাবে মাটি তৈরি করলে উপাদান মিশিয়ে মাটি তৈরি করে নিলে খুবই ভালো জার্মিনেশন রেট পাওয়া যায়। এই স্পেশাল মাটিতে চারা করে আপনি সেই চারা সাধারণ মাটিতে বা গার্ডেন সয়েলে লাগাতে পারবেন। আলাদা মাটি তৈরি করবেন যেভাবে > ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেচোসার ৫০% , কোকোপিট বা কোকোডাস্ট ৩০% , দোয়াশ মাটি ২০% , এই ৩ আইটেম একত্রে মিশাবেন এর সাথে এক চা চামচ ছত্রাকনাশম মিশিয়ে নিবেন।
>> বিজ থেকে চারা করার পাত্র হিসেবে সরাসরি মাটিতে , টবে, অন টাইম গ্লাসে, বা সিডলিং ট্রে যে কোন যায়গাতেই আপনি এই বিজ বপন করতে পারবেন। যেটাই ব্যাবহার করেন না কেন, অবশ্যই পাত্রের নিচে ছিদ্র থাকতে হবে যেন পানি জমে না থাকে। অন টাইম গ্লাস, পলি প্যাকেট বা সিডলিং ট্রে তে আগে চারা তৈরি করে নিয়ে নিদৃষ্ট বয়সে চারাকে অন্য বড় পাত্রে স্থানান্তর করতে পারেন। প্রথমে ছিদ্র যুক্ত গ্লাস/পলি/ট্রে তে বিজের জন্য তৈরিকৃত মাটি দিবেন , এরপর বিজ টি মাটির আধা ইঞ্চি নিতে পুতে দিবেন অথবা বিজটি রেখে তার উপর আধা ইঞ্চি পরিমান মাটি দিবেন। এরপর প্রথমবার ভালো করে পানি দিয়ে পুরো মাটি ভিজিয়ে দিবেন। এরপর যেখানে রোদ পড়ে এমন যায়গায় রাখবেন। তবে দুপুরে কড়া রোদ না লাগানোই ভালো। লাগলে খুব বেশী ক্ষতি নেই। পরিমান মত পানি দিবেন নিয়মিত। পানির পরিমানটা এমন হবে যে মাটি কাদা কাদা হবে না আবার পুরো শুকিয়ে যাবে না, হালকা ময়শ্চার ভাব থাকবে।একাধারে বৃষ্টিতে ভিজলে বা পানি বেশি মাত্রায় কাদা কাদা করে দিলে বিজ পচে যাওার সম্ভবনা থাকে। যেখানে আলো বাতাস আসেনা অর্থাৎ ঘরের ভেতর রাখবেন না। ছায়াতে রাখলে বিজ জার্মিনেশন হলেও তা বাচানো কঠিন হয়ে যাবে। ৫-১৫ দিনের মধ্যেই চারা গাজাবে ইনশাআল্লাহ। চারা ৬ ইঞ্চি লম্বা ও মিনিমাল ১২-১৬ পাতা হলে তা স্থানাঞ্চর করে আপনার মেইন টবে লাগাতে পারবেন। আপনি চাইলে সরাসরি মেইন টব এ বিজ বপন করতে পারেন। মেইন টবে বিজ বপন করলে তো আর স্থানান্তর এর প্রশ্নই আসেনা।
>> কেমন টব দিবেনঃ সর্বনিম্ন ৬ ইঞ্চি সাইজের টবে দিতে হবে। টব যত বড় হবে টবে মাটি তত বেশি ধরবে এবং মাটি যত বেশি ধরবে গাছ তত বেশি খাবার পাবে ও শিকড় বৃদ্ধির যায়গা পাবে, সুতরাং টব যত বড় হবে গাছ ও ফুল তত ভালো হবে।>(বিজ কেনার পূর্বে সতর্কবার্তাঃ বিজ থেকে চারা করা অনেকটা সাধনার ব্যাপার। আপনি যদি নতুন বাগানি হয়ে থাকেন ও মনে করে থাকেন বিজ মাটিতে ফেলে দেওয়া মানেই চারা হয়ে যাওয়া তাহলে আপনার জন্য বিজ না কিনে নার্সারি থেকে চারা কেনাই উত্তম। কারণ একটি বিজ থেকে চারা হবার জন্য বিজের মান ভালো হবার পাশাপাশি আবহাওয়া, মাটী, পরিবেশ, আদ্রতা, কিট বা বালাই ব্যাবস্থাপনা সহ এমন অনেক বিষয় থাকে। )>
- তুলসি একটি ঔষুধি গাছ।
- কম যায়গাতেই সহজে লাগানো যায় ও তুলসি পাতা অনেক উপকারি ।
- সারা বছরই লাগানো যায়।
- যে কোন সাধারণ মাটি ও যে কোন পরিবেশে সহজেই লাগানো যায়।
- জার্মিনেশন রেটঃ ৮০-৯০%
- জার্মিনেশন টেস্ট করা
- বাড়ীতে ছোট টবেই লাগানো যাবে ও প্রয়োজনে পাতা সংগ্রহ করা যাবে।
- লাগানোর পদ্ধতি ও গাছের উপকারিতা ডিস্ক্রিপশনে পাবেন
Login to ask a question