Thankuni Powder ( থানকুনি গুড়া ) 100 gm

SKU: VJA80519
Seller: VesojE Agro

Tk 120


থানকুনি একটি বহুবর্ষজীবি লতানো উদ্ভিদ পুকুর এবং জলাভূমির পাশে পাওয়া যায়।থানকুনি ব্যবহার করা যায় খাদ্য এবং ওষুধ উভয় হিসেবেই। শেকড় সহ এর পুরো অংশই খাওয়া যায়। ভর্তা, ভাজি, বড়া তৈরির পাশাপাশি এই পাতা দিয়ে চাটনি, সালাদ এবং পানীয়ও তৈরি করা যায়। জেনে নিন এর উপকারিতা-

১. পেটের আলসার এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করে: থানকুনির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যর কারণে এটি পেট এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। সেজন্য প্রথমে পরিষ্কার ও তাজা থানকুনি পাতা সেদ্ধ করুন। এরপর সেই পানি একটি গ্লাসে ছেঁকে নিন। এরপর তার সঙ্গে যোগ করুন মধু। পেটের আলসার এবং মূত্রনালীর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকালে এই পানীয় পান করুন।

২. আমাশয়ে : আমাতিসার হলে, বিশেষত শিশুদের থানকুনি পাতার রস প্রত্যহ দুই চামচ পরিমাণ রস হালকা গরম করে ১৫ দিন খাওয়াবেন, আরোগ্য লাভ করবে।

৩. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে: কিছু মনে না থাকলে, সব ভুলে যায়। এ অবস্থায় ২ অথবা ৩ চামচ থানকুনি পাতার রস এক চামচ মধু ও আধকাপ দুধের সাথে মিশিয়ে খান, এতে উপকার পাবেন।

৪. হজমের সমস্যা দূর করে: হজমে সমস্যা হলে তাজা থানকুনি পাতা এক চিমটি লবণ দিয়ে সেদ্ধ করুন। এটি নিয়মিত পান করুন। কারণ হজমশক্তি ভালো করার জন্য এবং সুস্থ থাকার জন্য থানকুনি পাতার এই পানীয় ভীষণ উপকারী।

৫. পেট এবং লিভার ভালো রাখে: যারা পেটের নানা সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে একটি পাকা কলার সঙ্গে কিছু থানকুনি পাতা খেতে পারেন। এমনটাই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এভাবে নিয়মিত খেলে তা আপনার পেটের স্বাস্থ্য এবং লিভার দুটোই ভালো রাখবে।

৬. ক্ষত নিরাময় করে: যেকোনো ক্ষত দ্রুত নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন থানকুনি পাতা। এর আছে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য যা খুব তাড়াতাড়ি ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ক্ষত নিরাময়ের গতি ত্বরান্বিত করতে এবং ত্বকের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য শুকনো থানকুনির গুঁড়া দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করুন।

৭. আর্থ্রাইটিস থেকে মুক্তি দেয়: যারা আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী হতে পারে থানকুনি পাতা। এটি প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। বাতের চিকিৎসার অংশ হিসেবে চিকিৎসকরা নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে বাতের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন অনেকটাই।

৮. কাশি এবং শ্বাসযন্ত্রের অসুখ সারাতে কাজ করে: মধুর সঙ্গে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে তা সহজেই কাশি এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য অসুখ সারাতে সাহায্য করতে পারে। তুলসি ও গোল মরিচ দিয়ে থানকুনি পাতা খেলে তা ঠান্ডা এবং জ্বরও নিরাময় করে। গলা ব্যথা এবং কাশি নিরাময়ের জন্য, থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে পান করুন। এটি সপ্তাহখানেক ধরে খেলে উপকার পাবেন।

৯. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাথাকলে নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার চেষ্টা করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য থানকুনি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি যদি খাবারের তালিকায় থানকুনি পাতা রাখেন তবে আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে হবে না।

১০. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভীষণ কার্যকরী থানকুনি পাতা। যা এই মহামারির সময়ে আরও বেশি জরুরি। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সেবন করুন। এটি শিশুকে খাওয়ানোও উপকারী।

১১. অনিদ্রা দূর করে: অনিদ্রার সমস্যা আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই অসুস্থ করে দেয়। তাই সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ঘুম জরুরি। অনিদ্রার সমস্যা থাকলে তা দূর করার জন্য খেতে পারেন থানকুনি পাতা। প্রতিদিন দুইবার ২-৪ চামচ থানকুনির রস ও মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে দ্রুত।

১২. চুল পড়া কমায়: চুল যদি অতিরিক্ত পড়তে থাকে তবে তা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে থানকুনি পাতা। প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ শুকনো থানকুনির গুঁড়া দিয়ে তৈরি প্যাক মাথায় ব্যবহার করলে তা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে অনেকটাই।






Customer Questions and answers :

Login to ask a question