Shomudro Shonkho Powder ( সমুদ্র সঙ্খ গুড়া ) - 100gm


Tk 135
Tk 150
Tk 150
10% OFF


আপনারা যারা রূপচর্চায় মনোযোগী তারা নিশ্চয়ই শঙ্খের গুঁড়া এবং তার অসামান্য গুণের কথা শুনে থাকবেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এখনো রূপচর্চায় শঙ্খের গুঁড়া কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানেন না বললেই চলে। সৌন্দর্যচর্চায় এর ভূমিকাও ঠিক পুরনো। 

শাঁখ গুঁড়ো করলে যে সাদা পাউডার পাওয়া যায় তাই সাধারণত স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যচর্চায় ব্যবহার করা হয়। শঙ্খের সাদা এই গুঁড়ায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং অন্য নানা ধরনের খনিজ যেমন আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম। এসব কারণে প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন অংশে শঙ্খ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

১.স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় শঙ্খ: আপনার যদি কোন কারণে পেটে ব্যথা, বদহজম বা অন্ত্রের কোন ধরনের জটিলটা দেখা দেয় তবে একটি শঙ্খের শেলের মধ্যে সারারাত পানি রেখে দিয়ে সকালে এই পানি দুই চামচ খেলে আপনার সমস্যার উপশম হবে।

২.শঙ্খ ভস্ম: শাঁখের শেল থেকে তৈরি এক রকম আয়ুর্বেদিক ওষুধ এই শঙ্খ ভস্ম। এটা গ্যাস্ট্রিক, পেটে ব্যথা এবং ম্যাল আবসরবসন জনিত বিভিন্ন সমস্যায় ব্যবহার করা হয়।

৩.সৌন্দর্যে শঙ্খ: সৌন্দর্য চর্চায় শঙ্খের মত কার্যকরী উপাদান খুব কমই আছে। আপনি যদি শঙ্খ গুঁড়ো যোগার করতে পারেন তবে তা আপনাকে ব্রণ বিহীন ত্বক থেকে শুরু করে ইনস্ট্যান্ট ফেয়ারনেস পর্যন্ত দিতে সক্ষম। চলুন দেখে নেই ত্বক ও চুলের জন্য শঙ্খ কীভাবে ব্যবহার করা যায়।

৪.শুষ্ক ত্বকের জন্য: শুষ্ক ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে যায়। যাঁদের ত্বকে কালচে ছোপ হয়েই গেছে, এই প্যাক তাঁদের জন্য। মাত্র ২ সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহারে কালচে ছোপ হালকা করে ফেলতে প্যাকটির জুড়ি মেলা ভার। ১ টেবিল চামচ শঙ্খচূর্ণ, ২ চা-চামচ আপেল সিডার ভিনেগার, ৪-৫ ফোঁটা কাঠবাদামের তেল, ভিটামিন সি ট্যাবলেট বা ১টি সিভিট গুঁড়া ও সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

৫.তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: যাঁদের ব্রণ ও ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ২ টেবিল চামচ তুলসী পাতার রস, ১ টেবিল চামচ শঙ্খের গুঁড়া মিশিয়ে নিন ভালোভাবে। এবার সামান্য বাদামি চিনি দিয়ে গুলে সারা মুখে লাগাতে হবে। ৫ মিনিট পর একটু ঘষে তুলে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে সপ্তাহে ১ দিন ও ছোট দানা বা ব্রণযুক্ত ত্বকে সপ্তাহে প্রতিদিন প্যাকটি লাগালে উপকার পাওয়া যাবে।

৬.চুলের যত্নে: শঙ্খের শেলে সারারাত ধরে রাখা পানির সাথে গোলাপজল মেশান। এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুলের স্বাভাবিক রঙ বজায় থাকবে আর চুল থাকবে মসৃণ।

৭.ত্বকের যত্নে পরিষ্কার শঙ্খের ভেতরে রাখা পানি দিয়ে প্রতিদিন সকালে আপনার ত্বক ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এটা বিভিন্ন চর্মরোগ, র‍্যাস, আল্যারজি সারাতে সাহায্য করে। নিয়মিত একমাস ধরে এভাবে মুখ ধুলে ত্বকের শ্বেতি রোগের প্রাদুর্ভাব পর্যন্ত কমে যায়।

 ৮.ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে: ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে ও রিঙ্কেল দূর করতে প্রতিদিন গোসলের সময় শঙ্খ গুঁড়া আর সমপরিমাণ মুলতানি মাটি পানিতে মিশিয়ে মুখে আর ঘাড়ে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। অবশ্যই ফল পাবেন।

৯.চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করে: শঙ্খ গুঁড়া গোলাপ জলের সাথে পরিমাণ মত মিশিয়ে চোখের নিচে সাবধানে লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার আগেই আবার ধুয়ে ফেলুন। আপনার চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর হয়ে যাবে।

১০.ব্রণ সমস্যা দূর করে: আপনার বিভিন্ন প্যাকের সাথে এক চিমটি করে শঙ্খ গুঁড়া যোগ করে তারপর ব্যবহার করুন। ত্বকের কালো ভাব দূর হওয়ার সাথে সাথে ব্রণের উপদ্রপও দূরে থাকবে। শঙ্খ গুঁড়া ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে।

১১.স্ক্রাবের সাথে সানট্যান দূর করে: সমান পরিমাণ শঙ্খের গুঁড়া, কেওলিন পাউডার ও মুলতানি মাটির গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। বাইরে যাওয়ার সময় নিয়মিত ব্যবহারে রোদে পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচা যায়। ভালো স্ক্রাবের সাথে সাথে এটা আপনার সানট্যান দূর করে আপনাকে দেবে ফর্সা ত্বক।

১২.সব ধরনের ত্বকের জন্য: ১ টেবিল চামচ শঙ্খগুঁড়া, লেবুর খোসাবাটা আধা চা-চামচ, ৩-৪ ফোঁটা গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগান। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন ১ বার করে প্যাকটি লাগালে রোদের প্রভাবে কালচে ভাব দূর হয়ে যায়।

১৩.সারা শরীরে লাগানোর জন্য: ১ কাপ শঙ্খগুঁড়ার সঙ্গে ১ কাপ মসুরের ডালের বেসন, ১টি ডিম ও লেবুর রস মিশিয়ে সারা শরীরে লাগিয়ে রাখতে হবে মিনিট দশেক। তারপর ছোট রুমাল বা টাওয়েল ভিজিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ১ দিন প্যাকটি লাগালেই যথেষ্ট। এই প্যাক লাগালে সাবান দেওয়ার দরকার হবে না। গলা, ঘাড়সহ শরীরের যেসব স্থানে কালচে ভাব হয়েছে সেটি তুলে ফেলবে নিয়মিত ব্যবহারে।

সতর্কতা: সবসময় মনে রাখবেন শঙ্খ গুঁড়া কখনই সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করবেন না। এটা খুব সুক্ষ পাউডার হলেও এতে আপনার ত্বক কেটে যেতে পারে। যাদের ত্বক সংবেদনশীল তারা এটা ব্যবহার না করলেই ভালো করবেন। সবসময় শঙ্খ গুঁড়া সমপরিমাণ মুলতানি মাটি, বেসন বা চালের গুঁড়ার সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এতে শঙ্খ গুঁড়ার কার্যকারিতা কমে যাবে না।






Customer Questions and answers :

Login to ask a question