এক সময় তিসির তেলের খুব চাহিদা ছিল। এখন তিসি অনেকে আর না চিনলেও অনলাইনের স্বাস্থ্য পরামর্শ অনুসারীদের কাছে দেশে ও বিদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্ল্যাক্স সিডস বা তিসি। শরীরের নানা রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মেনোপজের নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও ফ্ল্যাক্স সিডস উপকারী ভূমিকা রাখে।
১. ওজন কমানোর জন্য: বর্তমান সময়ে ডায়েট চার্টে তিসির তেল ডাক্তারগণ যুক্ত করতে বলেন। কারন আমাদের দেহের কোলন সিস্টেম উন্নত করে এবং পাকস্থলীর হজম কাজে সহয়তা করে। তাছাড়া শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
২. ব্রণ ও ব্যাল্ক হেডস দূর করে: তিসির তেলে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং উচ্চমানের এন্টি- ফালামেট্ররি প্রোপার্টিজ ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ব্রণের সমস্যা দূর করে। এছাড়া ব্ল্যাকহেডস সমস্যা দূর করতেও তিসির তেল কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৩.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: বর্তমানে আমরা সবাই কম-বেশি এই সমস্যা ভুগে থাকি। বেশির ভাগ সময় বাইরের খাবার খেয়ে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় এবং পরে তা কোষ্ঠকাঠিন্য। তিসির তেল আপনার এই প্রতিদিনের সমস্যা থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করবে।
৪. চুল কালো ও ঘন করে: তিসির তেলে থাকা অ্যাসিড জাতীয় উপাদান চুল ঘন ও কালো করতে সহায়তা করে। শুধু তিসির তেল বা নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহারে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়।
৫. ডায়রিয়া সমস্যার সমাধান: অনেকেই আছেন ঘন ঘন ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে পড়েন। নিয়মিত তিসির তেল সেবন করলে এই সমস্যা দূর করবে। কারন তিসির তেল আপনার মেটাবলিজম সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে।
৬. ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: বর্তমানে ত্বকের অন্যতম মারাত্মক সমস্যা ত্বকের ক্যান্সার। নানা রকম ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনকি ত্বকের ক্যান্সার এখন মারাত্মক পর্যায়ে পৌছে গেছে। কিন্তু তিসির তেল ব্যবহার করলে এই ক্যান্সার দূরে রাখা সম্ভব। কারণ এতে আছে এন্টি -অক্সিডেটিভ প্রোপার্টিজ যা ক্যান্সারের সেল তৈরি হতে বাধা সৃষ্টি করে।
৭. হার্ট ভালো রাখে: তিসির তেল হার্ট কে বিশেষ ভাবে সুরক্ষা দেয়। কারন এতে থাকা Alpha linolenic acid হার্টকে সুস্থ রাখে এবং হার্টজনিত সকল রোগকে দূরে রাখে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন ১.৫ গ্রাম তিসির তেল সেবন করলে তার ৫০ শতাংশ হার্টের স্বাস্থ্য ঝুকি কমে যায়।) কোলেস্টেরল কমায়
৮. খুশকি থেকে মুক্তি দেয়: মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে তিসির তেল বেশ কার্যকরী। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে সহজেই খুশকি দূর হয়। সেই সঙ্গে মাথার ত্বকের সংক্রমণ থেকে মুক্তি মেলে। পরিমাণমত নারিকেল তেলের সাথে এক থেকে দেড় চা-চামচ তিসির তেল সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করলে খুশকির সমস্য দূর হবে।
৯. কোলেস্টেরল কমায়: তিসির তেল আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাএা কমাতে সাহায্য করে। খারাপ কোলেস্টেরল LDL কে উল্লেখযোগ্য হারে কমায় তিসির তেলে থাকা ALA (alpha linolenic acid)। এক গবেষণায় দেখা যায়, হাই- কোলেস্টেরল একজন রোগী যদি প্রতিদিন এক চা-চামচ তিসির তেল গ্রহন করেন তাহলে ১২ সপ্তাহের মধ্যে কোলেস্টেরল এর মাএা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
Login to ask a question