By creating an account on our website you will be able to shop faster, be up to date on an orders status, and keep track of the orders you have previously made.
মাটি: প্রায় সব ধরনের মাটিতেই সারা বছর লাল শাকের আবাদ করা যায় ।তবে দোয়াশ ও বেলে-দোয়াশ মাটি চাষের জন্য উত্তম।আমাদের দেশে শীতের শুরুতে লাল শাকের ফলন বেশী হয়।গরমকালে উচু জমিতে লালশাক চাষ করা যায়।জমি তৈরী: লাল শাকের বীজ খুব ছোট।তাই ৪-৫টা চাষ ও মই দিয়ে জমি ঝুরঝুরা করে তৈরী করতে হবে।লালশাক স্বল্প কালীন ফসল।তাই শেষ চাষের সময় প্রতি শতক জমিতে গোবর সার ৪০কেজি, ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৩০০গ্রাম টিএসপি এবং ২৫০গ্রাম এমপিও সার প্রয়োগ করতে হবে।চারা গজানোর ৭দিন পর ৪০০গ্রাম অতিরিক্ত ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।বীজ বপন: লাল শাকের বীজ ছিটিয়ে ও সারিতে বপন করা যায়।সারিতে বপন করলে পরিচর্যা করা সুবিধাজনক এবং ফলনও বেশি হয় । বর্ষার সময় চাষ করলে এক মিটার চওড়া এবং ১৫ সেমি উচু বেড করে বীজ বপন করতে হয়। সেক্ষেত্রে দুটি বেডের মাঝে ৩০সেমি সেচ নালা রাখতে হয় । বপনের সময় বালির সাথে মিশিয়ে বপন করলে বীজ সব জায়গায় সমভাবে পড়তে পারে। প্রতি শতক জমিতে ১০গুাম বীজ হলেই চলে । সারিতে বপন করলে, ২০সেমি দূরে দুরে কাঠির সাহা্য্যে ১.৫-২.০সেমি গভীর করে লাইন টেনে লাইনে বীজ ছিটিয়ে মাটি সমান করে দিতে হবে।আন্ত: পরিচর্যা: বীজ বপন বা চারা রোপনের পর থেকে ফসল সংগ্রহ পর্র্যন্ত যেসব পরিচর্যা করা হয়, তাকে আন্ত:পরিচর্যা বলে। বপনের সময় মাটিতে বীজ গজানোর মতো পর্যাপ্ত রস অর্থাৎ জো থাকলে সেচের প্রয়োজন হয় না।তবে জো না থাকলে বপনের পর পর জমিতে সেচ দিতে হবে। বীজ গজানোর এক সপ্তাহ পর প্রত্যেক সারিতে ৫সেমি অন্তর গাছ রেখে অন্যান্য গাছ তুলে পাতলা করতে হবে। নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে এবং সেচের পর মাটির চটা ভেঙে দিতে হবে।ফসল সংগ্রহ: বীজ বপনের ২০-২৫দিনের মধ্যে লালশাক সংগ্রহ শুরূ করা যায়। প্রথম দিকে বড় গাছগুলো তুলতে হবে। এভাবে দুই-তিন দিন পর পর শাক তোলা যেতে পারে। শিকড়সহ লার শাকের গাছ তোলা হয়। তোলার পর পানিতে ধুয়ে আটি বেঁধে বাজারজাত করা হয়। কান্ড শক্ত হওয়ার আগেই শাকের জন্য ফসল সংগ্রহ শেষ করতে হবে।
ফলন: উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে প্রতি শতক জমি থেকে ৪৫-৫৫ কেজি লালশাক পাওয়া যায়।