Kari Pata Powder ( কারি পাতা গুড়া ) - 100gm


Tk 220


কারিপাতা আমাদের অনেকেরই পরিচিত একটি উপাদান। আমরা আমাদের বিভিন্ন রান্নায় স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়ানোর জন্য কারিপাতা ব্যবহার করে থাকি। 

কারিপাতায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, আয়রন, কপার এবং ভিটামিন। এই পাতার নিয়মিত ব্যবহারে শরীর এসবের ঘাটতি পূরণ হয়। শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এটি বেশ কার্যকর। কারিপাতার পাশাপাশি তার রসও একই রকম উপকারি।

১.চুল বৃদ্ধিতে: কারি পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি, প্রোটিন এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা মাথার ত্বকে লাগালে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে নতুন চুল গজায়। আমলকি, মেথি এবং কারি পাতা সমপরিমাণে বেটে মাথার তালুতে লাগিয়ে রাখুন প্রায় ৩০-৪৫ মিনিট। এরপর অল্প গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

২.বয়সের ছাপ দূর করে: কারি পাতা ত্বকের মুক্ত র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ত্বকের বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করে।

৩.দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্যও কারি পাতা খাওয়া খুব ভালো। কারি পাতায় উপস্থিত ভিটামিন এ-র প্রভাবে চোখের কর্নিয়া ভালো থাকে। 

৪.ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : প্রতিদিন কারি পাতা খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলের উপরে যাওয়ার সুযোগ পায় না। এখানেই শেষ নয়, কারি পাতায় উপস্থিত ফাইবারও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫.চুল পাকা রোধে: বয়স থাকতেই চুলে কারি পাতা লাগাতে শুরু করুন। এতে আপনার চুল পাকা রোধ হবে। কারি পাতার সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে পুরো চুলে মেখে রাখলে তা আপনার চুল কালো রাখবে। চুল স্বাস্থ্যকর থাকার পাশাপাশি এই প্যাকটি কিন্তু আপনার বয়স ধরে রাখতেও সাহায্য করবে।

৬.হার্ট ভালো রাখতে: কারিপাতা ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারিতে পরিপূরণ থাকায় এটি হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।

৭.চুলের আগা ফাটা কমায়: অনেক সময় চুল ঘন থাকার পরও আগা ফাটার সমস্যা থাকলে দেখতে খারাপ লাগে। চুল বেশ পাতলাও লাগে। এক্ষেত্রে চুলের আগায় শুধু কারি পাতা বেটে লাগিয়ে রাখুন, দেখবেন আস্তে আস্তে আগা ফাটা কমে যাচ্ছে।

৮.মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে: মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে কারিপাতার জুড়ি পাওয়া ভার। পুরোনো আমলে মানুষরা বলেন নিয়মিত কারিপাতা খেলে বুদ্ধি বাড়ে। আর আধুনিক বিজ্ঞান বসে যে কারিপাতা অ্যামনেশিয়া নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ দেয়।

৯.খুশকি দূর করতে: কারি পাতাতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, যা কিনা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। কারি পাতা বেটে তার সাথে সমপরিমাণ টক দই মিশান। এবার এই মাস্কটি মাথার তালুতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করুন। এরপর অন্তত পক্ষে ত্রিশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর করতে যাদুর মত কাজ করবে এই মাস্কটি।

১০.গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধানে: নিয়মিত কারিপাতা খেলে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ হয়। হজমের সমস্যা, গ্যাস ইত্যাদি সেরে যায়।

১১.ত্বকের বলিরেখা দূর করে: কারি পাতার ফেস প্যাক ত্বকের ওপর প্রয়োগ করলে দূর হয়ে যাবে । যেহেতু কারি পাতার মধ্যে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে তাই এটি ব্রণর ক্ষেত্রেও সহায়ক।

১২.হেয়ার টনিক হিসেবে:উচ্চ মাত্রায় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় চুল শক্ত করতে ও সিল্কি করতে কারি পাতার কোনো তুলনা নেই। একটি প্যানে নারিকেল তেল দিয়ে তাতে কারি পাতা মিশান। এরপর তা গরম হলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার মিশ্রণটি হেয়ার টনিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। 

 






Customer Questions and answers :

Login to ask a question