Jostimodu Powder (যষ্টি মধু গুড়া) - 100gm


Tk 120


যষ্টিমধু হচ্ছে গ্লাইসাইররিজা গ্লাবরা গাছের শিকড়। বাংলায় গাছটিকে যষ্টিমধু গাছ বলা হয়ে থাকে। যষ্টিমধুর শিকড় থেকে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়। এটি লিগিউম জাতীয় বিরুৎ যা মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন অংশে পাওয়া যায়। মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের অনেক দেশে চকোলেট এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার প্রস্তুতিতে যষ্টিমধু ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে যষ্টিমধু ঔষধি উদ্ভিদ নামে পরিচিত।
 
জেনে রাখি যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা:
 
প্রাচীন কাল থেকেই ভেষজ চিকিৎসায় যষ্টিমধু ব্যবহার হয়ে আসছে। দুর্বল পেট প্রশমিত করা, প্রদাহ যকমানো ও উচ্চ শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার জন্য চীন, মধ্যপ্রাচ্য, এবং গ্রীক দেশে এর ব্যবহার বেশ পুরাতন। এছাড়াও যষ্টিমধুর নানা উপকারিতা আছে। চলুন এর আরও কিছু উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।
 
১) ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরী অভ মেডিসিন এর মতে। লিকারিস বা যষ্টিমধুতে ৩০০ টিরও বেশি যৌগ রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্যামেটরি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল প্রভাব। আর এই জন্য ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ, একজিমা, সোরিয়াসিস পায়ের ছত্রাক জইত সমস্যা সমাধানে এটি সাহায্য করে।
 
২) যষ্টিমধু গ্যাস ও বদহজম হ্রাস করতে সাহায্য করে: ন্যাশনাল লাইব্রেরী অভ মেডিসিন এর বিশেষ গবেষণায় দেখা যায় Josti modhu পেটব্যাথা, বমি বমি ভাব ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী।
 
৩) পেপটিক আলসার থেকে মুক্তি: পেট, নিচের খাদ্যনালী ও ছোট অন্ত্রের মধ্যে বেদনা দায়ক পেপটিক আলসার সাধারণত পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা প্রদাহজনিত কারনে হয়ে থাকে। যষ্টিমধু আপনাকে পেপটিক আলসার থেকে রক্ষা করে।
 
৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: যষ্টিমধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্যামেটরি যা একধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধগড়ে তোলে। এটি আপনার শরীর থেকে ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে। ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
 
৫) শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যার সমাধান: আমাদের মধ্যে অনেকেরই শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দেখা যায়। মূলত শ্বাস-তন্ত্রের সমস্যার কারনে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা হয়। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান সংক্রমণ ও গলাব্যাথা কোমায়। কাশি থাকলে যষ্টিমধু সিতোপালাদি গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
 
৬) ক্যাভেটির আক্রমণ থেকে মুক্তি: ক্যাভেটির আক্রমণ থেকেই মূলত আমাদের দাঁত ও মাড়িতে নানা সমস্যা দেখা দেয় যষ্টিমধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁত ও মাড়ির জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে।
 
৭) হেপাটাইটিস-সি এর চিকিৎসায় যষ্টিমধু: সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে তথা সমগ্র বিশ্বজুড়ে হেপাটাইটিস-সি রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। সাম্প্রতিক সময় হেপাটাইটিস-সি এর চিকিৎসায় চিকিৎসকরা প্রাথমিক ভাবে যষ্টিমধু ব্যবহার করছে।
 
এই সকল উপকারের পাশাপাশি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, ওজন কমাতে সাহায্য করে।
Customer Questions and answers :

Login to ask a question