সকলেই কমবেশি চুলের নানাবিধ সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে চুল পড়ে যাওয়া, মাথায় খুশকি, চুল লাল হয়ে যাওয়া, চুলের আগা ফাটা ইত্যাদি।
এই সকল সমস্যার কথা বিবেচনা করে আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমলকি, শিকাকাই, মেথি, মেহেদী, কারিপাতা ইত্যাদি সহ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি স্পেশাল হেয়ার প্যাক । এটি প্রাকৃতিকভাবে আপনার চুলের সমস্যা সমাধান করবে।
হেয়ার প্যাক এর গুনাগুন
১.চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে: ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুলের ক্ষতি রোধ করে এবং ফলস্বরূপ, টাক পড়াও নিরাময় করে।
২. চুল বৃদ্ধি: চুল বৃদ্ধির জন্য শিকাকাইয়ের ভেষজ প্রতিকার যুগে যুগে কমছে। হেয়ার প্যাক গুঁড়ো এবং দইয়ের সাথে মিশ্রিত হয়ে গেলে আপনার চুলে শীট যুক্ত করে এবং চুলের বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
৩.অ্যান্টি-ছত্রাক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল: অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য উকুন, খুশকি বা ত্বকের সমস্যা যেমন স্ক্যাবিস, সোরিয়াসিস এবং একজিমা হওয়া থেকে রোধ করে। এটি ক্ষত নিরাময়ের জন্য এন্টিসেপটিক হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. চুল পাকা রোধে: বয়স থাকতেই চুলে আমাদের হেয়ার প্যাক লাগাতে শুরু করুন। এতে আপনার চুল পাকা রোধ হবে। হেয়ার প্যাক এর সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে পুরো চুলে মেখে রাখলে তা আপনার চুল কালো রাখবে। চুল স্বাস্থ্যকর থাকার পাশাপাশি এই প্যাকটি কিন্তু আপনার বয়স ধরে রাখতেও সাহায্য করবে।
৫. চুলের আগা ফাটা কমায়: অনেক সময় চুল ঘন থাকার পরও আগা ফাটার সমস্যা থাকলে দেখতে খারাপ লাগে। চুল বেশ পাতলাও লাগে। এক্ষেত্রে চুলের আগায় শুধু কারি পাতা বেটে লাগিয়ে রাখুন, দেখবেন আস্তে আস্তে আগা ফাটা কমে যাচ্ছে।
৬. খুশকি দূর করতে: হেয়ার প্যাকের উপাদান এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, যা কিনা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। হেয়ার প্যাক গুড়ার সাথে সমপরিমাণ টক দই মিশান। এবার এই মাস্কটি মাথার তালুতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করুন। এরপর অন্তত পক্ষে ত্রিশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর করতে যাদুর মত কাজ করবে এই মাস্কটি।
৭. হেয়ার টনিক হিসেবে:উচ্চ মাত্রায় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় চুল শক্ত করতে ও সিল্কি করে। একটি প্যানে নারিকেল তেল দিয়ে তাতে হেয়ার প্যাক গুড়া মিশান এরপর তা গরম হলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার মিশ্রণটি হেয়ার টনিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
Login to ask a question