গ্রীন সুপার গ্রোথ(সার)
গ্রীন সুপার গ্রোথ এর ব্যবহার এবং অন্য সকল ডিটেইল নিচে আলোচনা করা হয়েছে
গ্রীন সুপার গ্রোথ কেন ব্যাবহার করবেন এবং কোন গাছে কি পরিমান দিবেন তা নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
** ছাদ বাগানের বিভিন্ন ফসলে গ্রীন সুপার গ্রোথের ব্যাবহার বিধি।
* গ্রীন সুপার গ্রোথ হচ্ছে উদ্ভিদের একটি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক, ( plant growth Regulator, PGR). এর মূল উপাদান 4-cholophenoxy Aceti Acid যা চীন থেকে আমদানিকৃত এবং এর সাথে কিছু ম্যাক্রো এবং মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট ও বেনিফিসিয়ারী উপাদানের সংমিশ্রনে আমাদের দেশের বিভিন্ন ফসলের উপযোগী করে তৈরী করা হয়েছে। গ্রীন সুপার গ্রোথ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত, আইএমপি নং- ৬৩৯৪। গ্রীন সুপার গ্রোথ ব্যাবহারে গাছের বৃদ্ধি বাড়ে, ফুল ফল বেশী আসে, ফল এবং ফললর আকার বেশী বড় হয়, ফলের কালার ও মান বেশী ভালো হয়,।
গ্রীন সুপার গ্রোথ এর ব্যবহার মানুষের স্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতি কর না।
* ব্যবহার নিয়মাবলী।
* গ্রীন সুপার গ্রোথ অতিরিক্ত পরিপূরক হিসাবে ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ মাটিতে যে সকল সার বা পুষ্টি উপাদান প্রদান করতে হয় তা করতে হবে। গ্রীন সুপার গ্রোথ খুব সকালে, শেষ বিকালে সন্ধ্যায় আগে আগে বা রাত্রে স্প্রে করতে হবে।
* তীব্র রোদ বা বেশী বাতাসের সময় ব্যবহার করা যাবেনা।
* সঠিক বৃদ্ধির ও ফলনের জন্য ৭-১০ দিন পর পর নিয়মিত স্প্রে করতে হবে।
তবে সপ্তাহে দুই বা তিন দিন দিতে পারলে বেশী ভালো হবে।
* এই ক্ষেত্রে সকল উপাদানের ঘনত্ব আনুপাতিক হারে কমিয়ে আনতে হবে। গাছের বৃদ্ধি স্বাভবিক হলে কয়েক দিন বিরতি দিতে হবে।
* স্প্রে করার পর বার্তি পানি গাছের গোড়ায় দিয়ে দিতে হবে। এর ফলে আরো ভালো কাজ হবে।
* গাছের উপর স্প্রে এমন ভাবে করতে হবে যেন সম্পূর্ন পাতা ভিজে যাবে কিন্তু পানি গড়িয়ে না পরে।
* গাছের পাতা ছাড়াও মূল, কান্ড, বাকল, ফুল এবং ফলের মাধ্যমেও গ্রীন সুপার গ্রোথের মধ্যস্হিত উপাদান শোষন করতে পারে।
* গ্রীন সুপার গ্রোথের সাথে ছত্রাকনাশক বা কীটনাশক ও ব্যবহার করা যাবে।
# ব্যবহার বিধি এবং পরিমান।
* ঘরের বিভিন্ন ইনডোর প্লান্ট-
প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলি মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর দিতে হবে।
* গোলাপ, ডালিম, জবা, চন্দমল্লিকা, গাঁদা, গ্লাডিউলাস, হাসনাহেনা, জারবেরা, এলামন্ডা ইত্যাদি-
প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলি সার মিসিয়ে ৭-১০ দিন পর পর দিতে হবে।
* অর্কিডের উপর ব্যবহার-
অর্কিডের বিভিন্ন প্রজাতিতে গ্রীন সুপার গ্রোথ খুব ভালো কাজ করে।
নতুন চারা গজানো, অর্কিডের বৃদ্ধি ভালো হয়, পাতার কালার বেশী সবুজ হয়, শিকরের বৃদ্ধি করা, দ্রুত ফুল আসা ইত্যাদি।
১. অর্কিডের উপর ব্যবহারে সময় যদি সম্ভব হয় তবে প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি সার মিশিয়ে প্রতিদিন দিতে হবে।
২. প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি ১ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
৩. প্রতি লিটার পানিতে ৩ মিলি ৩-৪ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
৪. প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলি ৫-৭ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
ক্যাকটাস ও সাকুলেন্ট-
প্রতি লিটার পানিতে ৩-৫ মিলি ৭-১০ দিন পর পর নিয়মিত স্প্রে করতে হবে।
* এডেনিয়াম বা মরু গোলাপ-
প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলি ৭ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
* ফুল থাকলে ফুলের উপর যেনো বেশী দ্রবন না পরে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
* বিভিন্ন ধরনের পাতা জাতীয় শাক-
লালশাক, পুইশাক, পালংশাক লেটুস, ধনিয়া ইত্যাদিতে প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলি গ্রীন সুপার গ্রোথ এবং এর সাথে ৫ গ্রাম ইউরিঅ সার ও ৩ গ্রাম কুইক পটাশ ( মূল উপাদান পটাশিয়াম সালফেট) মিশিয়ে বীজ গজানোর ৭ দিন পর থেকেই ব্যবহার করতে হবে।
* বিভিন্ন সবজি ( ফুল থেকে ফল হয়)
যেমন বেগুন, ঢ়েঁড়স, বরবটি করলা, শশা, লাউ ইত্যাদি
প্রতি লিটার পানিতে ৩ মিলির সাথে ৫ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৩ গ্রাম কুইক পটাস সার মিশিয়ে ফসলের অবস্তা দেখে ৭-১০ দিন পর পর ব্যবহার করতে হবে।
* টমোটো, মরিচ, আলু-
প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলি এবং ৫ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৩ গ্রাম কুইক পটাশ সার মিসিয়ে ৭-১০ দিন পর পর দিতে হবে।
* ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি-
প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলি এবং ৫ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৩ গ্রাম কুইক পটাশ সার মিসিয়ে চারা রোপনের ৭ দিন পর থেকে নিয়মিত দিতে হবে।
* লেবু, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, সাফদা, ডালিম, জলপাই, পেঁপে, কাল, ড্রাগন ফল ইত্যাদি-
প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলি এবং ৩-৫ গ্রাম ইউরিয়া এবং ২-৩ গ্রাম কুইক পটাশ সার মিসিয়ে ৭-১০ দিন পর পর দিতে হবে।
* আমের উপর-
প্রতি লিটার পানিতে ৫ মিলি এবং ৫ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৩ গ্রাম কুইক পটাশ সার মিসিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর দিতে হবে। মুকুল আসার আগ মুহুর্তে স্প্রে করা যাবেনা। এর পর আম মার্বেলের মত হলে তারপর ১০ দিন পরের ব্যবহার করতে হবে।
Login to ask a question