মাটির পানির ধারণ ক্ষমতা ও অন্যান্য ভৌত অবস্থার উন্নতি ঘটবে। * ভিটামিন ও হরমোন নিঃসরণ করে গাছের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করবে। * একরপ্রতি গাছকে ১২-১৫ কেজি নাইট্রোজেন জোগান দেবে। * ফসলের ফলন ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং * চাষের খরচ কম হবে। * মাটিতে গাছের পুষ্টি বজায় থাকবে। * মাটির জীবাণুর বৃদ্ধি ফলে উদ্ভিদ খাদ্যের আয়ন-ব্যয়ন প্রক্রিয়া বাড়বে। * মাটির জৈব পদার্থের পরিমাণ বাড়বে। * গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। জৈব সার মাটির অম্ল ও ক্ষারের সূচক (পি.এইচ.) নিয়ন্ত্রণে রেখে নানান উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি করে। জৈবসার প্রয়োগে মাটির জলধারন ক্ষমতা ও তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। গাছের প্রধান খাদ্য – নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশ (এন.পি.কে)। গৌণ খাদ্য – ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার। কৃষিবিজ্ঞানীরা দেখেছেন গরুর গোবরে নাইট্রোজেন ০.৪০%, ফসফেট ০.২০% ও পটাশ ০.১০% আছে। গরুর মূত্রে নাইট্রোজেন ১.০০% , ফসফেট ০.৫০% ও পটাশ ০.৩৫% রয়েছে। প্রতিটি গরুর গোবর ও গোমূত্র থেকে প্রাপ্ত জৈব সারের আনুমানিক পরিমাণ বছরে নাইট্রোজেন ৪২.৬৫ কেজি, ফসফরাস ১০.২৮ কেজি ও পটাশ ৩৪.৯৩ কেজি। এই জৈব সারের কৃষিতে প্রয়োগে উৎপাদিত ফসলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সার ও হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করে গরুর মলমূত্র একত্রে মিশিয়ে ও পচিয়ে যে সার তৈরি করা হয় তাই গোবর সার। এই সার দেশের কৃষকের কাছে অত্যন্ত পরিচিত ও উন্নতমানের সার। এত অধিক পরিমাণ জৈব সার অন্য কোনো গৃহপালিত পশুপাখি থেকে পাওয়া যায় না।
Login to ask a question