- যারা চালতার আচার পছন্দ করেন তারা একবার চেখে দেখবেন। চেখে দেখে ফেসে যেতে পারেন আপনার নিজ দায়িত্বে!
- গ্রাম এলাকায় সাধারণত জঙ্গলে চালতা গাছ জন্মে। কখনো কখনো দুয়েকটি গাছ বাড়ির উঠানেও দেখা যায়। চালতা ফলের যে অংশ খাওয়া হয় তা আসলে ফুলের বৃতি। প্রকৃত ফল বৃতির আড়ালে লুকিয়ে থাকে। ফল বাঁকানো নলের মত। ভেতরে চটচটে আঠার মধ্যে বীজ প্রোথিত থাকে। চালতা অপ্রকৃত ফল, মাংসল বৃতিই সাধারণত খাওয়া হয়। টক বলে চালতা আচার, চাটনি, টক ডাল হিসেবেই বেশি খাওয়া হয়। টক, ঝাল, মিষ্টি বিভিন্ন রকমের আচার তৈরি করা যায় চালতা দিয়ে।
- চালতা একটি অবহেলিত ফল হলেও এর রয়েছে নানা খাদ্যগুণ। যেমন –
- চালতা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’-এর ভালো উত্স।
- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এই ফল স্কার্ভি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।
- চালতায় রয়েছে বিশেষ ধরনের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জরায়ু ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। *চালতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ যা বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- *চালতায় উপস্থিত আয়রন রক্তের লোহিতকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে। রক্তের সংবহন ঠিক রাখে। চালতার বিভিন্ন উপাদান হার্টের নানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
- *চালতা পেটের নানা অসুখ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডায়রিয়া সারাতে কাঁচা চালতার রসের তুলনা নেই।
- *রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে চালতা।
- *ঠান্ডা ও কাশির জন্য পাকা চালতার রস চিনি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- *কিডনীর নানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে চালতা।
- শুধু ফল নয়, চালতার মূল ও পাতারও রয়েছে ঔষধীগুণ। মচকে গিয়ে ব্যথা পেলে সেখানে চালতা গাছের মূল ও পাতা পিষে প্রলেপ দিলে ব্যথা কমে যায়।
Customer Questions and answers :
Login to ask a question