-
ব্রোকলির খাদ্য গুণাগুণ: ব্রোকলিতে প্রচুর খাদ্যগুনাগুন রয়েছে। ব্রোকলিতে ভিটামিন সি, ক্যারোটিন ও ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি। ব্রোকলি নিয়মিত খেলে তারুন্যতা বৃদ্ধি পায়।
-
স্থান নির্ধারণ: বাসার বারান্দায় বা ছাদে এমন একটি স্থান বেছে নিন যেখানে প্রচুর আলো বাতাস পায়।
-
টব: ব্রোকলি চাষের জন্য টব বা প্লাস্টিক অথবা কাঠের কনটেইনারও ব্যবহার করা যায়। মাঝারি সাইজের একটি টব বেছে নিন। প্লাস্টিকের বালতিতেও করতে পারেন। টব নির্বাচনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যেন ছোট না হয়ে যায় কারন এটি দ্রুত বাড়ে ও আকারে মোটামুটি মাঝারি আকারের হয় তাই ৫ লিটার পাত্রের সমান টবে লাগাবেন। মাঝারি আকৃতির টবে ১ টি গাছের চাষ করা সম্ভব।
-
মাটি প্রস্তুত: ব্রোকলি চাষের জন্য দোআঁশ অথবা বেলে দোআঁশ মাটি সবচাইতে ভাল। এই মাটিতে ব্রোকলি চাষ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। পানি জমে না এরূপ মাটি হলে ফলন ভালো পাওয়া যায়। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমনভাবে ব্রোকলি চাষের জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সাধারণ মাটিতে বেশি জৈব সার বা ভার্মি কম্পোষ্ট মিশালে গাছের গ্রোথ ভাল হবে ও কোকোপিট মেশালে পানি নিষ্কাশনে সাহায্য করবে।
-
বীজ প্রস্তুতঃ ব্রোকলি চাষের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে হবে। বীজ থেকে চারা তৈরি হলে উক্ত চারা টবে সঠিকভাবে লাগাতে হবে।পাতা পচা সার ১ ভাগ, বালু ১ ভাগ ও মাটি ২ ভাগ মিশিয়ে ব্রোকলির বীজতলা তৈরি করতে হয়। যদি পলিতে বা টবে লাগান তাহলে ভার্মি কম্পোষ্ট ৫০% ও কোকোপিট ৫০% এ মিশীয়ে লাগালেও অনেক ভাল চারা তঈরি হয়। মনে রাখবেন মাস খানেকের কম বয়সী চারা লাগানো ভাল। কম বয়সের চারা দ্রুত বাড়ে। ভালো ফলন পেতে হলে বীজতলায় চারা তৈরি করে পরে মূল টবে লাগাতে হবে। বীজ রোপনের পর চারা গজাতে ৩/৪ দিন সময় লাগে । ৮/৯ দিন বয়সে চারা মূল টবে লাগানোর উপযূক্ত হয়। তবে ৩/৪ সপ্তাহের সুস্থ চারা সার ও মাটি ভরা টবে লাগলে ভালো হয়। টবে লাগানোর উপযুক্ত চারা চেনার জন্য যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেন তা হলো চারার উচ্চতা ৮-১০ সেমি, ৫-৬টি সবল পাতা ও গাঢ় সবুজ বর্ণ। লক্ষ রাখতে হবে কখনও যেন বীজতলা একেবারে শুকিয়ে না যায় আবার পানি জমে না থাকে। চারা তোলার পূর্বে বীজতলায় পানি দিয়ে নিতে হবে। তাহলে চারার গোঁড়া নরম হয়ে আসে এবং বীজ তুলতে সহজ হয়।
-
বীজ রোপণ: বছরের যেকোন সময়ে আপনি ইচ্ছা করলে ব্রোকলি চাষ করতে পারেন। তবে সেপ্টেম্বর মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ব্রোকলি চাষের উপযুক্ত সময়। এসময় ব্রোকলি চাষ করা উত্তম। ব্রোকলি এপ্রিল মাসের পরেও ভালো ফলন দিতে পারে।
-
খেয়াল রাখবেন ব্রোকলির চারা লাগাবেন বিকাল বেলা। চারা লাগানোর পর গোড়ায় মাটি খুব হালকা করে চেপে দিতে হবে। কেননা জোরে চাপ দিলে নরম শিকড় ছিঁড়ে যেতে পারে।
-
যত্ন ব্রোকলি গাছের সঠিক নিয়মে যত্ন নিতে হবে। গাছের গোড়ায় আগাছা জন্মাতে দেয়া যাবে না। যদি আগাছা জন্মায় তা সাথে সাথে উপড়ে ফেলতে হবে। পরে গোড়ার মাটি চারদিক থেকে তুলে দিতে হবে এবং টবের কিনার বরাবর সেচ দিতে হবে।
-
চারা রোপণের পর প্রথম ৪-৫ দিন পর্যন্ত এক দিন অন্তর অন্তর পানি দিতে হবে। পরবর্তীতে ৮-১০ দিন অন্তর বা প্রয়োজন অনুযায়ী পানি দিলেই চলবে। টব সব সময় আগাছা মুক্ত রাখুন আর মাটি ঝুরঝুরে করে দিন। আর পরিমান মত জৈব সার ব্যবহার করুন এবং সার প্রয়োগের পরে পানি দিতে ভুলবেন না।
-
ফসল তোলা: ব্রোকলি অনেক দ্রুত বাড়ে। সাধারণত চারা রোপণের ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাসের মধ্যে সবজিটি খাবার উপযোগী হয়। ব্রোকলি গাছ থেকে সংগ্রহ করার পর তা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই যত শীঘ্রই সম্ভব একে উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। ফসল সংগ্রহের সময় প্রথমে উপরের ফুলটি কেটে নিয়ে গাছটি বাড়তে দিলে নিচের পাতার গোড়া থেকে আবার ফুল বের হবে যা পরবর্তীতে সময়মত সংগ্রহ করা যাবে।
-
সবশেষে: এটা টবে চাষের পদ্ধতি, তাই পোকা-মাকড় সংক্রমণ, বা চিকিৎসা ইত্যাদি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যেহেতু আপনি আপনার বাসার ছাদে বা বারান্দায় করবেন, তাই তা অবাণিজ্যিক। আর সেই জন্য কোন সমস্যা হলে তার চিকিৎসা করতে হলে উল্টো আরো ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি বড় ধরনের ঝামেলা হয়, নতুন ভাবে চাষ করাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।
সংক্ষেপে জার্মিনেশন বা চারা করার নিয়মঃ
-
বীজ থেকে চারা তৈরি করার জন্য সাধারণ মাটিতেই বিজ বপন করতে পারেন। তবে আলাদা করে মাটির বানিয়ে নিলেন জার্মিনেশন রেট ভালো পাওয়া যায়। বিজ বপনের মাটিতে (ভার্মি সার/কেচো কম্পোস্ট ৪০%, কোকোপিট ৪০% , ও মাটি ২০%) একত্রে মিশিয়ে ঝুরঝুরে করে নিলে ভালো হয়। বিজতলার মাটি তৈরি করে মাটির আধা ইঞ্চি পরিমান নিচে বিজ বপন করতে হবে ও উপরে হালকা মাটির প্রলেপ দিতে হবে। মাটি হালকা ভেজা ভাব রাখবেন। রোদ আলো পড়ে এমন যায়গায় রাখবেন। ৫-১০ দিনের ভেতরেই চারা তৈরি হবে। এছাড়াও ইউটিউব বা ইন্টারনেটে সার্চ করলে অনেক তথ্য পাবেন। কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের মেসেজ অপশনে মেসেজ করুন। ধন্যবাদ।
-
প্যাকঃ ৫০+ বীজ থাকবে
-
জাতঃ হাইব্রিড
-
জার্মিনেশন রেটঃ আমাদের টেস্টে ৮০%-৯০% । বাকিটা পরিবেশ, আবহাওয়া, আদ্রতা, মিডিয়া এবং ক্রেতার অভিজ্ঞিতা ও পরিচর্যার উপর নির্ভর করবে।
-
বীজ অরিজিনঃ জাপান
-
মেইন সিজন আগষ্ট থেকে ফেব্রিয়ারি তবে উপযুক্ত পরিবেশ দিতে পারলে সারাবছর চাষ করা যায়
-
বাড়িতে ছাদে বা ব্যালকনিতে উপযুক্ত সাইজের টবেই লাগানো যাবে সহজে চাষ করা যাবে।
-
চাষের পদ্ধতি পন্যের ডিস্ক্রিপশনে পাবেন।
-
এছাড়া জার্মিনেশন বা অন্যান্য আরও বিস্তারিত জানতে প্যাকেটের উপর লেখা ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন।
-
• পন্যের নাম বা টাইটেলের সাথেই বীজের নাম, জাত ও পরিমান উল্লেখ করা আছে
-
• নামের সাথে একাধিক পরিমান বা জাতের উল্লেখ করা থাকলে অর্ডার করার সময় পরিমান বা জাত সিলেক্ট করার অপশন পাবেন
-
• উপযুক্ত ও সঠিক পরিবেশ ও পরিচর্যা পেলে সারা বছরই চাষ করা যাবে
-
• প্রতি রকম বীজ আলাদা ভাবে প্যাকিং ও মার্কিং করা থাকবে
-
• আমাদের শপ থেকে একত্রে একাধিক আইটেম ক্রয় করলে র্যান্ডমলি এক্সট্র বীজ/সার উপহার দেওয়া হবে
-
• ছাদবাগান বা ব্যালকনি ছোট পরিসরে চাষ যোগ্য বা জমিতে চাষের জন্য উপযোগি
-
• ফুল/ফল যেগুলো মিক্স কালার লেখা সেগুলো মিক্স হিসাবে পাবেন।
-
• জার্মিনেশন রেটঃ আমাদের টেস্টে জার্মিনেশন রেট ৮০-৯৫% বাকিটা ক্রেতার অভিজ্ঞতা পরিবেশ আবহাওয়া ও পরিচর্যার উপর নির্ভর করবে
-
• আমাদের প্রতিষ্ঠান “কিছুকথা শপ” বাংলাদেশ এগ্রিকালচার মিনিস্ট্রি থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত, এজন্য ১০০% অর্গানিক ও অরিজিনাল পন্য পাবেন।
-
• বপন ও চাষ পদ্ধতি ও বপনের সঠিক সময় সম্পর্কে ডিস্ক্রিপশনে পাবেন। আরও বিস্তারিত জানতে প্যাকেটের গায়ে লেখা ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
-
• বীজের ব্রান্ডঃ Kicukotha Seed / শপ নেমঃ Kicukotha Shop
-
• কোন প্রশ্ন থাকলে দারাজ চ্যাটে ওয়েবসাইট এর চ্যাট অপশনএ মেসেজ করুন
-
Customer Questions and answers :
Login to ask a question