Bitroot Powder ( বিটরুট গুড়া ) 150gm

SKU: VJA46056
Seller: VesojE Agro

Tk 400


সুপার ফুড হিসেবে বিটরুট এরই মধ্যে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি এমন একটি সবজি যেটি বিভিন্ন উপায়ে আমাদের শরীরের উপকার করে। 

 
বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকেই এটি নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা কমাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। 
আপনার শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্য দুটোই ভালো রাখবে এটি। এবার চলুন বিটরুটেরে উপকারিতাগুলো জেনে নেই।
 
১. উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: একটা বয়সের পর নারীদের মনোপজ হয়। শরীর তখন যেমন বেশি পরিমাণে লবণ শোষণ করে খাবার থাকে।
যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যেখান থেকে শুরু হবে বুক ধড়ফড় করা, মাথাব্যাথা এবং উদ্বেগ। চিকিৎসা না করলেই পড়বেন বিপদে। বিটরুট কিন্তু এইক্ষেত্রে বেশ উপকারি।গবেষণায় জানা গেছে বিটে রয়েছে নাইট্রেটস, যা রক্তনালী প্রসারিত করে ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। 
 
২.জ্বালা পোড়া বা প্রদাহ কমায়: বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে দেয়। নাইট্রেট ছাড়াও বিটে পাবেন বেটালাইনস। এটি এক ধরনের পিগমেন্ট। বেটালাইনসও রক্তনালীর প্রদাহ কমিয়ে দেয়। এই দুটো উপাদান মিলেই আপনার শরীরে রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
 
৩. হজম শক্তি বাড়ায়: হজমের সমস্যায় ভুগলে বিট খাওয়া শুরু করে দিন। কারণ, আপনার হজম সংক্রান্ত সকল সমস্যা দূর করবে বিট। বিট আঁশ জাতীয় খাবার। আঁশ জাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডাইভার্টিকুলাইটিস এমনকি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
 
৪.শারীরিক শক্তি বাড়ায়: বয়সের সাথে সাথে শরীরের শক্তি কমে যায়। শরীরের শক্তি বাড়াতে চাইলে আপনাকে সাহায্য করবে বিট। বিট এমনই একটি সবজি যার বহু গুণ। বুড়ো বয়সে নাতি-নাতনির সাথে দৌঁড়াতে চাইলে খাদ্য তালিকায় বিটরুট যোগ করুন।
 
৫.মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: যত দিন যাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমতে থাকবে। ভুলে যাবেন সবকিছু। এক কাপ বিট খেলেই কিন্তু বেঁচে যাবেন এই অবস্থা থেকে। বিট মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং ব্লাড সুগার ঠিক রাখে।
 
৬.ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়: কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিট খুব ভালো কাজ করে এবং এর ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পিগমেন্টের কারণে ধারণা করা হয় লাল বিট কার্সিনোজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে যেটি কোলন ক্যন্সারের জন্য দায়ী।
 
৭. দীর্ঘ-মেয়াদী চোঁখের যত্নে: বিট চোঁখের জন্য খুবই উপকারি। সবুজ বিট কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়। সিদ্ধ বা পরিপক্ক অবস্থায় এটিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা লুটেইন নামে পরিচিত। লুটেইন বয়স সম্পর্কিত চোঁখের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটিতে উদ্ভিদ উৎপাদিত ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা চোঁখের স্বাস্থ্য এবং চারপাশের স্নায়ু টিস্যুগুলির শক্তি এবং সুস্থতা বাড়ায়।
 
৮. ত্বকের যত্নে: ত্বকের যেকোন ধরনের প্রদাহ সারাতে বিট জুসের তুলনা নেই। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
 
৯.গর্ভবতী মায়েদের জন্য: প্রতি ১০০ গ্রাম বিটরুটে শতকরা ২৭ ভাগ ফলিক এসিড থাকে। এ কারণে গর্ভাবস্থায় এটি খেলে শিশুর জন্মকালীন ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
 
১০. লিভার রাখতে: লিভারে সুস্থ রাখতে বিটরুট কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এতে থাকা ফাইবার শরীর ডিটক্সিফাই করে। 
 
১১. কিডনি ও পিত্তথলিতে পাথর জমা প্রতিরোধে সাহায্য করে বিটরুট।এ ছাড়া নিয়মিত এ জুস খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে। সেই সঙ্গে পাকস্থলীতে এসিড জমাও রোধ হয়। 






Customer Questions and answers :

Login to ask a question