The Diary of A Young Girl by Anne Frank (Bengali Translated) - Yellow - Paperback


Tk 130
Tk 250
Tk 250
48% OFF
  • Language ‏ : ‎ Bengali
  • Paperback:  Yellow page
  • ISBN-10 ‏ : ‎ 9780061122415
  • ISBN-13 ‏ : ‎ 9848260587
  • Locally Printed
  • N:B: Cover may change due to edition



Book :
আনা ফ্রাংক, একটি ডায়েরি
যার জীবনের ঠিকানা।
মানুষ কখনো কখনো জীবন ঘষে নিজের কথা লিখে রাখে। লিখে রাখে বেঁচে থাকার প্রেরণা হিসেবে। অক্সিজেন গ্রহণ না করলে যেমন বাঁচা যায় না তেমনি যখন জীবনের সব পথ রুদ্ধ হয়ে যায় এবং অনিশ্চিত হয় বেঁচে থাকা, তখন কিছু একটা লিখে বেঁচে থাকাটাই হয় অক্সিজেন। আনা ফ্রাঙ্ক, তাঁর বোন মার্গারেট এবং বাবা-মা মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার জন্য একটি কুঠুরিতে দিনের পর দিন লুকিয়ে থাকেন। সেরকম সময়ে বার্থ ডে গিফটের ডায়েরিতে শ্বাসরুদ্ধকর জীবনের কথাগুলো লিখে রাখেন। ডায়েরিটি হয়ে ওঠে একটা সময়ের দলিল। আনার বয়স যখন তেরো বছর ঠিক তখনই নেমে আসে তাদের পরিবারে এই অন্ধকার সময়। তখন থেকেই জীবনের এই বিষাদময় দিনগুলো নিয়ে লিখতে শুরু করেন। পনেরো বছর দুই মাস পর্যন্ত লিখতে পেরেছিলেন তিনি এই ডায়েরি। ডায়েরির শেষ পৃষ্ঠাটি লেখার সাত মাস পর বন্দী জীবনের নির্মম নির্যাতনে চিরদিনের জন্য নিভে যায় তাঁর জীবন প্রদীপ। দুই বছর দুই মাসের দিনলিপি আনা ফ্রাঙ্কের এই ডায়েরি। হিটলারের নাৎসি বাহিনীর নির্মমতার সাক্ষর হিসেবে অগণিত ইহুদি পরিবারের মতো তাঁর জীবনও নিঃশেষ করে দেয়া হয়।
নিখুঁত সাহিত্য লিখে মনের ভাব প্রকাশ না করেও যে সাধারণ মানুষ জীবন রচনা করতে পারে আনা ফ্রাংক তারই উদাহরণ। ঘরের ভিতর তাঁর বেড়াল মুরটিয়ে, দৈনন্দিনের পারিবারিক জীবন, স্কুলে বন্ধুদের সাথে কি কথা হয়েছে, কে কি বই গিফট করেছে, বোন মার্গারেটের পিং পং খেলা, প্রিয় যানবাহন ট্রামে উঠার ইচ্ছা (যেটাতে ইহুদি হওয়ার জন্য আর উঠতে পারতো না), জার্মানদের ভয় এসবই লিখেছেন আনা ফ্রাঙ্ক। তাঁর পুরোনাম-আনেলিস মারি ফ্রাংক। জন্ম ১২ জুন ১৯২৯ ভাইমার জার্মানির ফ্র্যাংকফুর্ট আম মাইন শহরে। কিন্তু জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে। জাতীয়তায় ১৯৪১ সাল পর্যন্ত ছিলেন জার্মান, হিটলারের নাৎসি বাহিনীর ইহুদি নিধন নীতির কারণে জার্মান নাগরিকত্ব হারান। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেন তাঁর দিনলিপির জন্য। দিনলিপিতে তিনি নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালীন তাঁর অভিজ্ঞতাগুলোকে লিখে রাখেন।
১৯৩৩ সালে আনা ফ্রাংকের পরিবার আমস্টারডামে চলে যায়। সে বছরেই হিটলার জার্মানির ক্ষমতায় আসে। ১৯৪০ সালে হিটলারের নাৎসি বাহিনী আমস্টারডাম দখল করলে সেখানে তারা অন্তরীণ হয়ে পড়ে। দুই বছর পর, ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সালের সকালে তাঁরা জার্মান নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে। কে তাঁদের লুকানো বাসগৃহের কথা জার্মানদের কাছে বখশিসের বিনিময়ে জানিয়ে দিয়েছিলো তা সঠিকভাবে জানা যায় না। তাঁরা ধরা পড়ার পর তাঁদেরকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আনা ফ্রাংক ও তাঁর বোন মার্গো ফ্রাংককে পাঠানো হয় বার্গেন-বেলজান কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে। সেখানে ১৯৪৫ সালে টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে তাঁরা দুজনেই মৃত্যুবরণ করেন।
যুদ্ধ শেষে তাঁর পরিবারের একমাত্র বেঁচে থাকা ব্যক্তি বাবা অটো ফ্রাংক আমস্টারডামে ফিরে আসেন এবং আনার ডায়েরিটা খুঁজে বের করেন। তাঁর প্রচেষ্টাতেই দিনলিপিটি ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত হয়। এটির মূল ভাষা ওলন্দাজ। ১৯৫২ সালে ইংরেজিতে অনুদিত হয়। এরপর এটি অনুদিত হয় বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায়। বাংলা ভাষায়ও এর অনুবাদ আছে। ডায়েরিটি আনা পেয়েছিল ১৩তম জন্মদিনে উপহারস্বরূপ। তাঁর এই ডায়েরিতে ১২ জুন ১৯৪২ থেকে ১ আগস্ট ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ঘটে যাওয়া জীবনের কথাগুলো লিখে রাখেন। এই অধরা লেখাগুলোই হয়ে ওঠে সেসময়ের জীবন্ত ইতিহাস। ডায়েরিটা আমাদের শিহরিত করে তোলে। কিশোরী আনা ফ্রাঙ্কের চঞ্চলা মনের কোমল অনুভূতির প্রকাশ আছে এতে। এই চঞ্চলা কিশোরীর ছোটো ছোটো টুকরো কথার পর পরই আমাদের সমস্ত চৈতন্যকে তুমুলভাবে নাড়া দিয়ে সামনে এসে দাঁড়ায় আশ্চর্য গম্ভীর আনা ফ্রাঙ্ক। যে আনা ফ্রাঙ্ক দাঁড় করিয়ে দেয় হিটলারের পর্বতসম শক্তির নির্মম বিভিষীকার সামনে। তিনি সমকালকে চিত্রিত করতে গিয়ে রেখে গেছেন দর্শন, ইশ্বর, মানবচরিত্র এবং প্রেম-প্রকৃতিকে নিয়ে নিজের একটি জীবনবো





  • Language ‏ : ‎ Bengali
  • Paperback:  Yellow page
  • ISBN-10 ‏ : ‎ 9780061122415
  • ISBN-13 ‏ : ‎ 9848260587
  • Locally Printed
  • N:B: Cover may change due to edition
Customer Questions and answers :

Login to ask a question