টবে মিষ্টি কুমড়ো চাষের জন্য যা করা দরকার তা হলঃ–
বংশবিস্তারপদ্ধতি:
মিষ্টি কুমড়োর বীজ থেকে বংশবিস্তার হয়।এছাড়া টবে চারা বসিয়ে চাষ হয়।
জলবায়ু
মিষ্টি কুমড়ার গাছের চাষের জন্য খুব বেশী আর্দ্র মাটি প্রয়োজন হয় না। তবে মাটি যাতে বেশী ভিজে কাদা কাদা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর কোনো কারণে মাটি স্যাঁতস্যাঁতে থাকলে সেই কয়দিন জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। নিয়ম করে জল দিতে হবে। শীত ও উষ্ণ উভয় অঞ্চলেই মিষ্টি কুমড়া জন্মায়। বেশি শীতও না আবার বেশি গরমও না এমন আবহাওয়া মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য উত্তম। মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণু গাছ। সারা বছর মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়। মিষ্টি কুমড়া চাষে জল নিষ্কাষণী ব্যবস্থা থাকতে হবে।
মিষ্টি কুমড়ার উৎপাদনঃ
সারা বছরই মিষ্টি কুমড়া উৎপাদিত হয়।
মিষ্টি কুমড়ো মিষ্টি কুমড়ো যে কোনও মাটিতেই মিষ্টি কুমড়ো গাছ জন্মায়। তবে দোঁয়াশ,এঁটেল ও বেলে মাটিতে মিষ্টি কুমড়ো গাছের ভাল চাষ হয়। আপনি যদি টবে মিষ্টি কুমড়ো চাষ করতে চান তাহলে প্রথমেই যেটি করবেন, পরিমান মতো কম্পোস্ট সার, মিশিয়ে নিন। এতে টবের মাটি ভাল থাকবে। এর সঙ্গে কিছুটা পরিমান পাতা পচা সার, গোবর, খৈল মিশিয়ে মাটি তৈরি করলে ভাল হয়। সার মেশানোর কিছু দিন পর আবার উক্ত মাটিকে খুচিয়ে দিয়ে কয়েক দিন রেখে দিতে হবে। এর পর মাটি ঝুরঝুরা হলে চারাটি এনে টবে বসাতে হবে। মিষ্টি কুমড়ো চারা টবে স্থাপনের পরে অল্প জল দিতে হবে। মিষ্টি কুমড়ো এর জন্য মাটি সব সময় নরম ঝুরঝুরে থাকলে গাছ তাড়াতাড়ি বাড়ে। মাটি হবে জল ধরে রাখার ক্ষমতা সম্পন্ন।
সারপ্রদান
৮ সপ্তাহ পর থেকে তরল সার দেবেন। গাছে স্ত্রী ফুল দেখা না দেওয়া পর্যন্ত বেশী নাইট্রোজেন সার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
পরিচর্যা
সার হিসেবে চাপান সার বা জৈব সার দিতে হবে। প্রতিদিন মিষ্টি কুমড়ো গাছে সকাল বিকাল প্রচুর জল প্রয়োজন হয়। তাই নিয়মিত জল দিতে হবে। মিষ্টি কুমড়ো গাছে জল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গোড়ায় জল না জমে। মাসে একবার/দুবার মাটি খুঁচিয়ে দিতে হবে। যাতে মাটি ঝুরঝুরে থাকে। মিষ্টি কুমড়া গাছে সর্বদা যথেষ্ট সূর্যের আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাহলে ফলন ভালো হবে। গাছের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে এর গোড়ায় নিয়মিত ইউরিয়া সহ, ও নানা ধরণের জৈব সার প্রয়োগ করুন। যেহেতু একটি গাছ কয়েক বছর পর্যন্ত বাচানো যায় সেহেতু এক বছর পর টবের কিছুটা মাটি পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়াও গাছের গোড়ায় যেন কোন ধরনের আগাছা না হয় দেখতে হবে। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। ছাদ বা উঠোনে যেন এর বেয়ে চলা যেন বাধা প্রাপ্ত না হয়, দেখতে হবে। মাসে একবার পাতা ছাঁটা উচিৎ। বেশী বড় হয়ে গেলে আগা কাঁটতে হবে।
এছাড়া গাছে কচি ফল দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে কীটনাশক ব্যবহার করুন।
সীমাবদ্ধতাঃ
Seeds World ছাদবাগানিদের জন্যে স্বল্পমূল্যে এবং পরিমিত পরিমানে উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাতের বীজ জিপ প্যাক-এ এবং ইন্ট্যাক্ট প্যাকেটে সরবরাহ করে থাকে। আমরা প্রতিটি বীজের বিবরনে উক্ত বীজের রোপন এবং ফসল ফলানোর বিষয়ে বিশদ বর্ননা পোস্ট করে থাকি তবে অমৌসুমে বীজ বপন, অনুপযোগী মাটি, প্রতিকুল আবহাওয়া, বাগানির অনভিজ্ঞতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বীজ জার্মিনেশনের “Seeds World” কোন নিশ্চয়তাদেয়না অথবা কোন দ্বায়ভার গ্রহন করেনা।
Login to ask a question